যেখানে রক্তের পুকুরে গোসল করেন পর্যটকরা
ভ্রমণপ্রেমীরা সচরাচরই ভিন্ন রকমের পর্যটন কেন্দ্র পছন্দ করেন। সর্বদা তাদের চোখ খুঁজে বেড়ায় নতুন কিছু। ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য তেমনই একটি পর্যটন কেন্দ্র হলো জাপানের মিথ্যা রক্তের পুকুর।
রিসোর্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিশাল ভূমধ্যসাগরীয় থিমে তৈরি করা রক্তের পুকুরে সাঁতার কাটা যায় এবং ওয়াইন, কফি বা জাপানিজ খাবার খাওয়ার জন্য রয়েছে রেস্টুরেন্টের সুবিধা।
হট পুল বা ‘ওনসেন’ হলো একটি ঐতিহ্যবাহী স্নানের স্থান, যেখানে অসংখ্য পর্যটক একসঙ্গে গোসল করতে পারেন। এই লাল পানির জলাশয়ের কর্তৃপক্ষের মতে, এখানে স্নানকারীরা রক্তে সাঁতার কাটা উপভোগ করার পাশাপাশি রোমাঞ্চকর স্পাও উপভোগ করে থাকেন। যদিও মিথ্যা রক্তের পুলগুলো একটি সাময়িক আকর্ষণ মাত্র। সূত্র : নিউজহাব
এসআর/পি
মন্তব্য করুন
১৪০ মিটার দীর্ঘ রুটি বানিয়ে ফরাসিদের রেকর্ড
১৪০ মিটার দীর্ঘ ব্যাগেট (বিশেষ ধরনের রুটি) তৈরি করে একটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড করেছে ফরাসি বেকারদের একটি দল। এর আগে এই রেকর্ডটি ইতালির দখলে ছিল।
প্যারিসের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সুখছোতে ১৮ সদস্যের একটি বেকারের দল রোববার (৫ মে) একটি ১৪৩.৫৩ মিটার বা ৪৬১ ফুট লম্বা ব্যাগেট তৈরি করে নতুন করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছে।
গত পাঁচ বছর ধরে ইটালির কোমো শহরের বেকারদের দখলে থাকার পর ফ্রান্স তাদের রেকর্ডটি পুনরুদ্ধার করেছে৷ ফরাসি কনফেডারেশন অফ বেকার্স অ্যান্ড প্যাস্ট্রি শেফসের একটি অনুষ্ঠানে এটি তৈরি করা হয়।
কনফেডারেশনের সভাপতি ডমিনিক আন্রাক্ট বলেন, হাতে বানানো দীর্ঘতম ব্যাগেট এর রেকর্ডের জন্য অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। রুটি তৈরি এই শিল্পের চালিকাশক্তি, ব্যাগেট আমাদের খাবারের ঐতিহ্যের একটি অপরিহার্য অংশ।
বিশ্বজুড়ে ফরাসিত্বের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত ব্যাগেট৷ গিনেসের নিয়মানুসারে ব্যাগেট সাধারণত কমপক্ষে পাঁচ সেন্টিমিটার পুরু ও লম্বায় প্রায় ৬০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে।প্রতিটি ব্যাগেটের ওজন প্রায় ২৫০ গ্রাম৷ শুধুমাত্র গমের ময়দা, পানি, লবণ এবং ইস্ট দিয়ে এই রুটি বানানো হয়।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বেকাররা জানিয়েছেন, তারা আনুমানিক রাত তিনটা থেকে ৯০ কেজি আটা, ৬০ লিটার পানি, ১.২ কেজি লবণ ও ১.২ কেজি ইস্ট দিয়ে ১৫২ কেজি ওজনের মিশ্রণ তৈরি করেন। তারপর বিশেষভাবে নির্মিত ধীর গতির একটি চাকাযুক্ত ওভেনে বিশাল এই ব্যাগেটকে সেঁকা হয়।
শহরটির মেয়র গুইলাউম বাউডি বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম ব্যাগেট তৈরির রেকর্ডের অংশ হতে পেরে সুখছো গর্বিত। ব্যাগেট আমাদের খাবারের ঐতিহ্যবাহী জাতীয় প্রতীক। আমি সুখছো এর বেকারদের অভিনন্দন জানাই যারা এতে অংশ নিয়েছিলেন এবং আমাদের শহরের ঐতিহ্য বজায় রেখেছেন।
গিনেস কর্তৃপক্ষ সার্টিফিকেট দেওয়ার পর ব্যাগেটের কিছু অংশ কেটে আগ্রহী দর্শকদের মাঝে পরিবেশন করা হয়। তবে ব্যাগেটের বেশিরভাগ অংশ গৃহহীনদের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়।
আজ বিশ্ব গাধা দিবস
আজ ৮ মে বিশ্ব গাধা দিবস। ‘গাধা’ শব্দটি হরহামেশাই ব্যবহার হয় মানুষের ক্ষেত্রে। একটু ভুল করলে বা না বুঝলে মানুষ সাধারণত তাকে গাধার সঙ্গে তুলনা করে। আবার কেউ বেশি পরিশ্রম করলে তাদের কাজকে অনেকেই গাধার খাটুনির সঙ্গে তুলনা করে। এক কথায়, বোঝা টানা এ প্রাণীটিকে বোকাসোকা হিসেবেই মনে করে মানুষ। এ থেকেই বোঝা যায় গাধা কতটা পরিশ্রম করে। এ ছাড়া গাধা ওষুধশিল্পের গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল উৎপাদকও। মূলত প্রাণীটির প্রতি সচেতনতা ও ভালোবাসা তৈরির উদ্দেশ্যেই দিবসটির সূচনা করা হয়।
গাধা দিবস উপলক্ষে ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন বিং ডট কম বিশেষ ডুডল প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রাণিবিজ্ঞানী আর্ক রাজিক ২০১৮ সালে বিশ্ব গাধা দিবসের প্রচলন করেছিলেন। তিনি মূলত মরুভূমির প্রাণী নিয়ে কাজ করেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন গাধারা মানুষের জন্য যে পরিমাণ কাজ করে, সেই পরিমাণ স্বীকৃতি পাচ্ছে না। এ জন্য তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করেন। তারপর সেখানে গাধাবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য প্রচার করতে শুরু করেন।
গাধার দুটি প্রজাতি। উভয়ই আফ্রিকান বন্য গাধার উপপ্রজাতি এবং এগুলো হলো- সোমালি বন্য গাধা ও নুবিয়ান বন্য গাধা। ইতিহাস বলছে, ৪০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে মানব সেবার কাজ করছে গাধা।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গাধা রয়েছে চীনে। দেশটিতে গাধার চামড়ার নিচে থাকা এক ধরনের বিশেষ আঠা থেকে ওষুধ তৈরি করা হয়। এ ওষুধ অ্যাজমা থেকে ইনসোমনিয়ার মতো নানা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ওষুধশিল্পে গাঁধার ব্যবহারের ফলে দেশটিতে ক্রমেই কমছে প্রাণীটির সংখ্যা।
বিয়ের জন্য মৃত পাত্রের আত্মা চেয়ে বিজ্ঞাপন!
তিরিশ বছর আগে মেয়ের মৃত্যু হয়েছিল৷ মৃত সেই মেয়ের বিয়ে দিতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছে পরিবার৷ মেয়ের আত্মার জন্য উপযুক্ত জামাই আত্মার খোঁজ করা হয়েছে বিজ্ঞাপনে৷ এই ঘটনা বিশ্বাস করতে পারছেন না অনেকেই, আবার অনেকেই হেসে কুল পাচ্ছেন না। আর ভীতদের শিড়দ্বারা দিয়ে বইছে ঠান্ডা স্রোত। ব্যাপারটা আসলে কী? চলুন জেনে নেই আসল রহস্য।
পাত্র চাইয়ের চমকে দেওয়া বিজ্ঞাপনের ঘটনা ভারতের কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার পুত্তুড়ের৷ আত্মার বিয়ে দেওয়া ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের একটি ধর্মীয় রীতি। এই প্রথাকে স্থানীয়রা বলে থাকেন ‘কুলে মাদিমে’ অথবা ‘প্রেত মাদুভে’৷ সপ্তাহ খানেক আগে সংবাদপত্রে ব্যতিক্রমী বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হয়। যেখানে বর্ণ, গোত্রের উল্লেখ করে মৃত মেয়ের জন্য পাত্রের আত্মার খোঁজ করা হয়েছে। এমন পাত্রের দাবি করা হয়, যিনিও তিরিশ বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন।
তিরিশ বছর আগে মৃত পাত্রীর বাড়ির লোক জানান, বিজ্ঞাপন দেখে কমপক্ষে পঞ্চাশ জন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আগ্রহীদের মধ্যে থেকে কোনও পাত্রকে পছন্দ হলেই রীতি পালনের জন্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে৷ পাত্রীর পরিবারের এক সদস্য বলেন, আমরা ভেবেছিলাম হয়তো বিষয়টি নিয়ে অনেকে ঠাট্টা করবেন৷ যদিও তেমনটা ঘটেনি। এমনকী অনেকেই এই বিশেষ রীতিটি সম্পর্ক জানতে চেয়ে ফোন করেছেন।
‘কুলে মাদিমে’ অথবা ‘প্রেত মাদুভে’ রীতির উদ্দেশ্য হলো অবিবাহিত অবস্থায় মৃত পরিবারের সদস্যদের অপূর্ণ ইচ্ছেপূরণ। পছন্দের পাত্র পেয়ে গেলে জীবিতদের মতো সব নিয়ম মেনেই নাকি বিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা মনে করেন, মৃতের বিয়ে দিলে জীবিতদের বিয়ের বাঁধাও দূর হয়। এই ধর্মীয় রীতি বাস্তবেই গল্প-উপন্যাস, এমনকী সিনেমার স্ক্রিপ্টকে হার মানায়।
মানুষের নাকের যত জানা-অজানা
সর্দিকাশি, গন্ধ গ্রহণ থেকে শুরু করে প্রবাদ-প্রবচনে নাকের ভূমিকা গুরুত্ব পায়৷ নাক সম্পর্কে সার্বিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পেলে সেই ধারণা আরো বদ্ধমূল হয়ে উঠতে পারে৷জগত থেকে সব গন্ধ লোপ পেলে, সব বস্তু নিজস্ব সুগন্ধ হারালে এবং কোনো কিছুরই স্বাদ না পেলে বুঝতে হবে সম্ভবত সর্দিকাশির কারণেই সেটা ঘটছে৷
নাকের কাজই হলো গন্ধ শোঁকা৷ কিন্তু সর্দিকাশি ও অ্যালার্জি নাককে মনে করিয়ে দেয়, যে সেটি ইমিউন সিস্টেমের অংশও বটে৷ নাকের কাজ শ্বাসপ্রশ্বাসের সময়ে বাতাস ফিল্টার করা, তাতে আর্দ্রতা ও উষ্ণতা যোগ করা৷ বাতাসের স্রোতের সঙ্গে আসা বড় কণা নাকের লোমে আটকে পড়ে৷ নাকের ভেতরের অংশের মিউকাস ঝিল্লি আঠালো এক পদার্থ সৃষ্টি করে, যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের মতো আগন্তুকদের বন্দি করে৷ তার মধ্যে এমনকি অ্যান্টিবডিও রয়েছে, যা প্যাথোজেনকে সরাসরি নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে৷ সে কারণেই সংক্রমণ বা অ্যালার্জি হলে সবার আগে নাকেরই ভোগান্তি হয়৷ শ্বেত রক্ত কণিকা সেখানে সমবেত হয় এবং নাকের মিউকাস মেমব্রেন ফুলে ওঠে৷ এছাড়া সেগুলি আরো বেশি তরল সৃষ্টি করে৷ কোনো এক সময় নাক বন্ধ হয়ে যায়৷ কিছু সময়ের পর সেই অবরোধ উঠে গেলে নাক অবশেষে আবার তার পূর্ণ ক্ষমতা ফিরে পায়৷
অন্য সব সেন্সরি অরগ্যানের তুলনায় নাকের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ সবচেয়ে নিবিড়৷ ওলফ্যাক্টরি বা ঘ্রাণের স্নায়ু মিউকাস মেমব্রেনের দশ লাখেরও বেশি রিসেপ্টর থেকে পাওয়া সংকেত মস্তিষ্কে পাঠায়৷ বায়ু থেকে একটি অণু কোনো উপযুক্ত রিসেপ্টরে পৌঁছলেই সংকেত সৃষ্টি হয়৷ একাধিক ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ রিসেপ্টরের কল্যাণে আমরা গন্ধ জগতের বিশাল বৈচিত্র্যের স্বাদ নিতে পারি৷ একই ধরনের রিসেপ্টর একই সঙ্গে সক্রিয় হয়ে উঠলে গন্ধ বেশ কড়া হয়ে ওঠে৷ সব সময় সেটা মোটেই সুখকর হয় না৷ তবে শুধু দুর্গন্ধ পেলেই নাক সাড়া দেয় না৷ কখনো সুন্দর রান্নার সুগন্ধ বাতাসে ভেসে এলেও নাক আমাদের খিদে জাগিয়ে তোলে৷ নাক যেহেতু আমাদের জিবের তুলনায় অনেক বেশি গন্ধের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে, সে কারণেই খাবারের স্বাদ অনেক বেশি ভালো লাগে৷
অন্যের কাজে নাক গলানো কথাটার পেছনে কারণ আছে৷ নাক সত্যি অনেক সিদ্ধান্তে নাক গলায়৷ যেমন কোনো বাসা পছন্দ করা বা কাউকে আকর্ষণীয় মনে করার সময়ে গন্ধ আমাদের অনুভূতির উপর অনেক বেশি প্রভাব রাখে, যা আমরা সচেতনভাবে বুঝতে পারি না৷ আমাদের অন্য একটি ক্ষমতার চাবিকাঠিও নাকের কাছে রয়েছে৷ আর সেটা হলো আমাদের স্মৃতিভাণ্ডার৷ সুগন্ধের অভিজ্ঞতা স্মৃতিভাণ্ডারের গভীরে অটুট থেকে যায়৷ সেই স্পষ্ট স্মৃতির সঙ্গে বিশেষ আবেগ জড়িয়ে থাকে৷ এভাবে আমাদের নাক অতীতকে জীবন্ত করে তুলতে পারে৷ তবে স্মৃতিভাণ্ডারে সেই অভিজ্ঞতা প্রবেশের পথে সর্দিকাশি থাকলে চলবে না৷
স্বাস্থ্যকর মিউকাস ঝিল্লি ভাইরাস মোকাবিলা করার প্রথম ঢাল৷ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে নাকের মিউকাস ঝিল্লির দায়িত্ব পালনের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়৷